লাশ নিয়েও অনৈতিক ব্যবসাঃ চাঁদা ছাড়া ঘোরে না অ্যাম্বুলেন্সের চাকা

Passenger Voice    |    ০৮:১২ এএম, ২০২১-০৭-০৮


লাশ নিয়েও অনৈতিক ব্যবসাঃ চাঁদা ছাড়া ঘোরে না অ্যাম্বুলেন্সের চাকা

'ওদের মানবতা বলে কিছু নেই। গরিব হলেও ঠেকাইয়া টাকা নিচ্ছে। গলাকাটা দশা। ঢাকা শহরে মরাও যেন আমাদের মতো মানুষের বিপদ। লাশ গ্রামে নিতেও কত ঝক্কি-ঝামেলা। সাড়ে ১০ হাজার টাকা থেকে এক পয়সা কম নিলো না অ্যাম্বুলেন্সের চালক। এত করে বললাম, একটু কমাতে। কে শোনে কার কথা।' লিভারের নানা জটিলতায় ভুগে গতকাল বুধবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান বরগুনার বেতাগীর কৃষক আব্দুর রশিদ (৭৫)। মাটির ব্যাংকে জমানো টাকা ভেঙে ও ধারকর্জ করে চিকিৎসার খরচ চালানোর পর বাবার মরদেহ গ্রামের বাড়ি নেওয়ার এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা বলতে বলতে অশ্রুসিক্ত হয়ে ওঠেন রশিদের মেয়ে লিপি আক্তার। খবরঃ দৈনিক সমকাল। 

'ভাই রে, আমরা হতদরিদ্র। ছোট ভাই এতকাল ঢাকা শহরে ভ্যান চালিয়ে সংসারের হাল ধরেছিল। মগবাজারের বিস্ম্ফোরণে ওকে হারিয়েছি। কাঁদব কখন- বাড়িতে কীভাবে লাশ নিয়ে যাব, তাই নিয়ে শুরু হয় দুশ্চিন্তা। এত টাকা পাব কোনখানে? আত্মীয়স্বজন ও ভাইয়ের বন্ধুরা অ্যাম্বুলেন্সের খরচ জোগায়। দুটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করি ১৯ হাজার টাকায়। লকডাউন, তাই ভাড়াও দ্বিগুণ-তিনগুণ। কিন্তু লকডাউনে সব গাড়ি বন্ধ- সবাইকে অ্যাম্বুলেন্সে করেই গ্রামে যেতে হয়।' বলছিলেন রাজবাড়ীর পাংশার বাসিন্দা মুন্না মণ্ডল। মগবাজারের ভয়াবহ বিস্ম্ফোরণে নিহতের একজন তার ভাই মো. নুরুন্নবী (৩০)। গত বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। অনেক ঝক্কিঝামেলা ও ভোগান্তির পর তার লাশ অ্যাম্বুলেন্সে গ্রামে নিয়ে যান মুন্না ও তার স্বজনরা।

শুধু লিপি আক্তার কিংবা মুন্না মণ্ডল নন, তাদের মতো প্রায় সবাইকেই অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিতে গিয়ে বেদনাদায়ক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। কারণ ঢাকার সরকারি-বেসরকারি ১৮টি হাসপাতাল ঘিরে চলছে অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ির কমিশন ও সিন্ডিকেট বাণিজ্য। মোট ভাড়ার ওপর ২০-২৫ শতাংশ কমিশন না দিলে গাড়ি রাখতে দেয় না সংশ্নিষ্ট সিন্ডিকেট। করোনাকাল ও লকডাউন পরিস্থিতি পুঁজি করে বেড়েছে এই কমিশন বাণিজ্য। একই সঙ্গে বেড়েছে ভাড়াও। হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা এবং প্রশাসনের অসাধু লোকজন উল্লিখিত সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত।

যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ার মো. আখতারুজ্জামান করোনা আক্রান্ত হয়ে গত শনিবার ভোরে তার চাচা মো. মফিজুর রহমান (৪৩) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তবে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথমে তিনি কিছুদিন ভর্তি ছিলেন খুলনার এক হাসপাতালে। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় আনতে অ্যাম্বুলেন্স খরচ লাগে ৩৫ হাজার টাকা। লাশ নিতে খরচ পড়ে ১২ হাজার টাকা।

ঢাকা মেডিকেলের ফটকে বছর দেড়েক ধরে দায়িত্ব পালনকারী আনসার সদস্য অমৃত জোয়ার্দার শোনালেন লাশ বহন ও রোগীর স্বজনের ভোগান্তির ব্যাপারে তিক্ত অভিজ্ঞতা। শনিবার দুপুরে মেডিকেলের সামনে দাঁড়িয়ে কথা হয় অমৃতের সঙ্গে। এই আনসার সদস্য বলেন, বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকের অধিকাংশই যান্ত্রিক। অনেক সময়ই রোগীর স্বজনকে তারা ভিজিটিং কার্ড ধরিয়ে দেয় এবং মারা গেলে যোগাযোগ করতে বলে। এ নিয়ে স্বজনদের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের বাগ্‌বিতণ্ডাও হয়। তাদের সিন্ডিকেট এত শক্তিশালী যে, বাইরের অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে ঢুকতেও কৌশলে বাধা দেয়।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের কমিশনভোগী অসাধু সদস্যরা সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টাই তৎপর থাকে। তাদের সঙ্গে 'প্যাকেজ ডিল' না করলে অনেক সময় ময়নাতদন্ত থেকে শুরু করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতেও নিহতের স্বজনকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সরকারি কোনো নীতিমালা না থাকায় অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়ির মনগড়া ভাড়া আদায় করে তারা। দেখা গেছে, অধিকাংশ অ্যাম্বুলেন্সে নূ্যনতম প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদিও থাকে না অনেক সময়।

দেশে বর্তমানে আট হাজারের বেশি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মানের অ্যাম্বুলেন্স খুবই কম। বেশির ভাগ অ্যাম্বুলেন্সেই শুধু অক্সিজেন সিলিন্ডার, ফার্স্ট এইড বক্স ও রোগীকে শুইয়ে রাখার মতো স্ট্রেচার রয়েছে। যদিও একটি ভালো মানের অ্যাম্বুলেন্সে লাইফ সাপোর্ট সরঞ্জাম, ভেন্টিলেশন, পেশেন্ট মনিটর, ডাক্তার বসার সুব্যবস্থাসহ আনুষঙ্গিক আরও অনেক কিছু থাকার কথা। অ্যাম্বুলেন্সের ফিটনেস এবং কাগজপত্রও নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় না। ফিটনেসবিহীন অ্যাম্বুলেন্স প্রায়ই মারাত্মক দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকেও অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, অ্যাম্বুলেন্স সেক্টরে কোনো নীতিমালা না থাকায় দেশের জনগণ ভয়ানক ক্ষতির মুখে পড়ছে। একটি নীতিমালার জন্য হাইকোর্টে রিটও করা হয়েছে।

কমিশন বাণিজ্যের কথা স্বীকার করে আলমগীর হোসেন বলেন, রোগী পেতে অনেকে সময় কমিশন দিতে বাধ্য হই আমরা। আবার অধিকাংশ সেতু এবং ফেরিতেও টোল দিতে হয়। যদিও সরকারের সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে, অ্যাম্বুলেন্সের কাছ থেকে টোল নেওয়া যাবে না। কিন্তু ইজারাদাররা এই নির্দেশনা মানছেন না। কমিশন ও টোলের অর্থের চাপ পড়ে রোগী বা তাদের স্বজনের ওপর। তবে '৯৯৯'-এ কল দিয়ে কেউ অ্যাম্বুলেন্স নিলে হয়রানি কম হয়।

ঢাকা মেডিকেলের চালচিত্র : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘিরে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে ১০০-১১০টি। ফ্রিজার ভ্যান তিনটি। কেউ মারা গেলে বা রোগী বহনের ক্ষেত্রে বাইরের কোনো অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করতে বাধা দেওয়া হয় এখানে। ঢাকা মেডিকেলের ভেতরে অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য যানবাহন পার্কিং ইজারা নিয়েছেন লালবাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি খালেদ রাজুসহ আরও কয়েকজন। এখানে পার্কিং বাবদ অ্যাম্বুলেন্সপ্রতি আদায় করা হয় মাসে দেড় হাজার টাকা। এ ছাড়া কল্যাণ সমিতির নামে প্রতি অ্যাম্বুলেন্স থেকে মাসে তোলা হয় ২০০ টাকা।

ঢাকা থেকে চাঁদপুর যেতে প্রতিটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া ছিল আগে পাঁচ হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা। বর্তমানে নেওয়া হয় ৯-১০ হাজার টাকা। ফ্রিজার ভ্যানের ক্ষেত্রে প্রতি ট্রিপে ভাড়া বেড়েছে তিন-চার হাজার টাকা।

খালেদ রাজু বলেন, 'চন্দ্রদ্বীপ ট্রেডার্সের ব্যানারে যুবলীগ নেতা রমিজ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের বাবুল, রমিজসহ কয়েকজন পার্কিং ইজারা নিয়েছেন। তারা এখানে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছেন।' তবে রাজু এটা স্বীকার করেন, ঢামেক ঘিরে অধিকাংশ বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের মালিক হাসপাতালের স্টাফ ও তাদের আত্মীয়স্বজন। তারা সিন্ডিকেট করে এটি চালান। সরকারি অ্যাপস চালু হলে এ খাতে সিন্ডিকেট ভাঙবে।

সিরিয়াল নিতেই দুই হাজার টাকা : মিরপুর ২ নম্বরে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ঘিরে অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে ২২টি আর ফ্রিজার রয়েছে ৯টি। এ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স ও ফ্রিজার ভ্যান সিরিয়ালে দুই হাজার টাকা এবং ভাড়ার ওপর ২০-২৫ শতাংশ কমিশন দিতে হয়।

এই কমিশনের ৫ শতাংশ নেন মো. খোকন। বাকি কমিশন ১৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মামুদুর রহমান মাসুম ও স্থানীয় আরও কয়েকজন ভাগবাটোয়ারা করে নেন। প্রতি ট্রিপে এখানে দুই হাজার টাকা বেশি রাখা হচ্ছে। তবে খোকনের বক্তব্য, 'আমরা সেবা দেই, কমিশন খাই না।' যুবলীগ নেতা মাসুমের মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

স্যার সলিমুল্লাহতে এমপির ঘনিষ্ঠ লোক : স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ঘিরে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে অন্তত ৩৫টি। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে চারটি। কিন্তু এখানেও তৎপর চক্র। এখানকার অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের বড় নিয়ন্ত্রক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মুজ্জাফর হোসেন বাবুল। তিনি ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিমের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তবে বাবুলের দাবি, 'এ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন রেজাউল, এনায়েতসহ কয়েকজন। কেউ বঁাচার জন্য আমার নাম বলছে।'

প্রতি ট্রিপে বাড়তি তিন থেকে আট হাজার টাকা : শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘিরে রয়েছে বড় চক্র। প্রতি ট্রিপে সেখানে তিন হাজার থেকে আট হাজার টাকা বেশি নেওয়া হয়। বরিশাল পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ১৫ হাজার ও ফ্রিজার ভ্যান ভাড়া ২০ হাজার টাকা। কমিশন নেন ইসরাত বিশ্বাস রাজু ও মো. মিরাজ। প্রতি অ্যাম্বুলেন্স থেকে মাসে এক হাজার টাকা চাঁদা এবং ভাড়ার ওপর ১০ শতাংশ কমিশন তোলেন তারা। এই কমিশনের ভাগ পান ২৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিক হাসান কাজল ও কৃষি ইনস্টিটিউটের সাবেক ভিপি জ্যোতি প্রকাশ বড়ূয়া। কাজল প্রতি মাসে পান ৩০ হাজার টাকা। জ্যোতি প্রকাশ পান ২০ হাজার টাকা। তবে জ্যোতি প্রকাশ বড়ূয়া সমকালকে বলেন, 'গরিব মানুষ ও বেওয়ারিশ লাশ বহন এবং অফিস খরচের জন্য যারা অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা করেন, তাদের কাছ থেকে মাসে অল্প কিছু টাকা নেওয়া হয়।' আর কাজলের দাবি, 'আমার অ্যাম্বুলেন্স নেই, কেন কমিশন নেব?'

উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স চক্রের মূল নিয়ন্ত্রক মো. ওয়ালিউল্লাহ। উত্তরা অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের সভাপতি মো. সোহেল ও তার সহকারী রাসেল এবং ওয়ালিউল্লাহ সিরিয়াল নম্বর দিয়ে থাকেন।

শেরেবাংলা নগরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স তত্ত্বাবধান করেন স্থানীয় থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আসাদ। তিনি ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফোরকান হোসেনের ছোট ভাই। সেখানে প্রতি গাড়ি বাবদ মাসে এক হাজার টাকা ও ভাড়ার ওপর ১০ শতাংশ কমিশন দিতে হয়। ওই হাসপাতাল ঘিরে ১০০টি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে।

মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চক্রটির নিয়ন্ত্রণ করছেন উত্তম সাহা ও মো. কামাল। তারা প্রতি অ্যাম্বুলেন্স থেকে মাসে সাড়ে চার হাজার টাকা তোলেন। এই অর্থের মধ্যে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা হাসপাতালের আউটসোসিং ওয়ার্ড মাস্টার মো. মাসুদকে দেওয়া হয়। মাসুদের থেকে টাকার ভাগ যায় ওয়ার্ড মাস্টার রাসেল, মো. রিজন, কামাল ও মো. সুমনের কাছে।

মুগদা থানার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া রাজার একান্ত সহকারী মো. সিদ্দিক। তিনি প্রতি মাসে লাইনম্যান কালাম ও উত্তম সাহার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেন। সেখানে এই চক্রে মো. দবির নামে আরও একজন রয়েছেন। ওই দবির মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, খিদমাহ হাসপাতাল ও রমনায় হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের অনেক রোগী ও লাশ বহন করে থাকেন। তবে উত্তম সাহার ভাষ্য- 'আমি গাড়ির মালিক, কেন কমিশন নেব? কমিশন নিতে পারে হাসপাতালের স্টাফরা।'